আউটসোর্সিং নিয়ে কিছু কথা

ইল্যান্স ও ওডেস্ক থেকেই বছরে আয় ২ কোটি ডলার

২০১৩ সালে বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) শুধু ইল্যান্স ও ওডেস্কের মাধ্যমে অনলাইন আউটসোর্সিং থেকে আয় করেছেন প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ ডলার। এঁদের অধিকাংশই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। অদূর ভবিষ্যতে আউটসোর্সিং খাত বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় খাত হিসেবে বিবেচিত হবে। গত মঙ্গলবার (এপ্রিল ২৯, ২০১৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি সংসদ (ডিইউআইটিএস) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য দেন বাংলাদেশে ইল্যান্স-ওডেস্কের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালার উদ্বোধন করেন ডিইউআইটিএসের মডারেটর শফিউল আলম ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিইউআইটিএসের সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আরিফ দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক সানজিদা পারভীনসহ অনেকে।
‘বিকাম অ্যান অনলাইন ফ্রিল্যান্সার’ শিরোনামের এ কর্মশালা শুরু হয় বেলা আড়াইটায়। তিন ঘণ্টার এই কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায়, এমন বড় বড় ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা পান। কাজের ধরন, ক্ষেত্র ও যোগ্যতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে কর্মশালায়। -বিজ্ঞপ্তি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন দিক
ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি বাংলাদেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলতার সাথে কাজ করছেন, আবার অনেকেই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। নতুনদের কাছে যে বিষয়টা প্রায়ই শোনা যায় তা হলো এই পেশায় সহজে সাফল্য পাওয়া যায় না। বিষয়টা কিছুটা হলেও সত্যি। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা না থাকলে আসলে এই পেশায় সাফল্য পাওয়া কঠিন। অবশ্য শুধু এই দুইটি যোগ্যতা থাকলেই যে সাফল্যের চূড়ায় যাওয়া যাবে, তাও ঠিক নয়। সাময়িক সাফল্য পাওয়া এবং নিজেকে একটি পেশায় প্রতিষ্ঠিত করা এক কথা নয়। যদি লম্বা ভবিষ্যত্ ঠিক করে এই পেশায় এগিয়ে যেতে চান তাহলে নিজেকে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করতে হবে, যাতে শুধু কাজের দক্ষতা নয়, অন্যান্য সব দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের একজন পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা যায়।

আউটসোর্সিং বিষয়টি কী?
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিং সাইটে যিনি কাজ করেন তাঁকে বলে কনট্রাক্টর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন তাঁকে বলে বায়ার/ক্লায়েন্ট (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।

যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়
আউটসোর্সিং সাইটের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। যেমন:

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development),

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software Development),

নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (Networking & Information Systems),

লেখা ও অনুবাদ (Writing & Translation),

প্রশাসনিক সহায়তা (Administrative Support),

ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া (Design & Multimedia),

গ্রাহকসেবা (Customer Service),

বিক্রয় ও বিপণন (Sales & Marketing),

ব্যবসা-সেবা (Business Services) ইত্যাদি।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

এই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপিস্নকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফ্টওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ (ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপিস্নমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
এর মধ্যে আছে টেকনিক্যাল রাইটিং, ওয়েবসাইট কনটেন্ট, বস্নগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি (3D) মডেলিং, অটোক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস
এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
সেলস ও মার্কেটিং
এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), পিআর (পাবলিক রিলেশনস), টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভে, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস
এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড পস্ন্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসালটিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
কোন কাজের কি যোগ্যতা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে সফ্টওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন জাভা, সি-শার্প, ভিজুয়্যাল বেসিক, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল, ওরাকল, এমএস এসকিউএল সার্ভার) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলোর ওপরও এক-দুইটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এই বিভাগের কাজের জন্য ডেটাবেজ, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
লেখা ও অনুবাদ (রাইটিং ও ট্রান্সলেশন)
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, বস্নগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার) ইত্যাদি সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফ্লাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়। অডিও, ভিডিও এডিটিংয়ের ওপরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
কাস্টমার সার্ভিস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা এবং বলা দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
সেলস ও মার্কেটিং
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার), মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

বিজনেস সার্ভিসেস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

কাজ পাবেন যেখানে
আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার অনেক ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করা ভালো। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা হলো-
www.odesk.com
www.freelancer.com
www.elance.com

মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল

বর্তমানে ৪-৫টি আন্ত্মর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি বিষয় কমন থাকে আর সেটা হলো একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। সাধারণ কাজে যেমন সিভি দেখে চাকরি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ হয় তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আপনার প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার যোগ্য কি না। এর জন্য প্রোফাইলকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় করে তৈরি করুন। প্রোফাইলে যেগুলো না থাকলেই নয়-
হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স.কমে ফ্রিতেই প্রচুর স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হোন না কেন সেই স্কিলে আপনার যথেষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে।
পোর্টফলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবে যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
বিষয়টি অনেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মতো। একদম খালি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে যেমন কেউ আপনাকে সহজে অ্যাড করবে না, ঠিক তেমনি একদম খালি, অনাকর্ষণীয় একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।

সহজে কাজ পেতে
১. কেউ কেউ আছেন, যারা ৪-৫টা জবে আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন ১০০টা জবের জন্য আবেদন করেও তা পান না। এটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, আপনার অভিজ্ঞতা ও আপনার কাজের পারিশ্রমিক চাওয়ার ওপর। আপনি যদি কাজে দক্ষ হন এবং যদি কাজের মাধ্যমে বায়ারকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তবে আপনি সফল হবেনই। আপনার ইংরেজির দক্ষতা এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো ফল দিতে পারে। বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি যদি আরও কয়েকটি ভাষা শিখে ফেলতে পারেন তবে তা আপনার কাজের জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। অনলাইন বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করেই এখন আপনি ভাষা শেখার চেষ্টা করতে পারেন। যাঁদের ইংরেজি দুর্বল তারা চর্চা বাড়াতে পারেন।
২. যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে হায়ার করতে হলে বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড থাকতে হয়।
৩. কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত হতে হবে। আপনি অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে ব্লগ লিখতে পারেন। নিজের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এক সময় আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে না; বরং বায়াররাই আপনাকে খুঁজে ফিরবে।
৪. কাজ পাবার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। বেশি সময় অনলাইনে থাকতে হবে। বায়ারের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ভালো হতে হবে। আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তবে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে এবং নিজের কাজের দাম নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।
৫.যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেই শর্ত যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো। যেমন, Feedback Score: At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hour অর্থাত্ যাঁদের ফিডব্যাক স্কোর কমপক্ষে ৪.০০ এবং যাঁরা অন্তত ১০০ ঘণ্টা কাজ করেছেন, তারা এই জবে আবেদন করতে পারবেন।
৬.যাঁরা ওডেস্কে ২-৩টা জব (কাজ) করেছেন, এখন বেশি ডলার রেটে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার রেট দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে বেশি ডলার রেটে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলার রেটে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি ডলার রেটে আবেদন না করাই ভালো।

গুগলঃ গুগল সার্চ
গুগলকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। যেকোনো সফল ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন, প্রত্যেকেই বলবে তারা অনেক কিছু গুগল সার্চ করে জেনেছে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। যদি কোথাও আটকে যান, তখন গুগল সার্চ করুন। অনলাইনে আপনার সহায়ক অনেক উপকরণ পাবেন। প্রোফাইল তৈরি থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সব কিছুই এখন অনলাইনে পাবেন।
সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে সক্রিয় থাকুন। লিংকডইনে তৈরি করুন পেশাদার প্রোফাইল। আপনি ইউটিউব থেকেও টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। অবশ্য একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরুর আগে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা ও উন্নত কনফিগারেশনের কম্পিউটারও প্রয়োজন পড়বে।

নিজেকে সময় দিন
ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই দিন-রাত কিছুই মানেন না । ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পান না। এজন্য অনেকেই একা হয়ে পড়েন এবং অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করলেও নিজেকে কিছুটা সময় দিন। বই পড়ুন, বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। ঠিক সময়ে ঘুমান। প্রচুর পানি পান করুন। নিজের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যান। শুধু অর্থ আয়ের পেছনে ছোটার চেয়ে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিন আগে। ফ্রিল্যান্সিং করে যাঁরা সফল হয়েছেন তাঁদের পরামর্শ হচ্ছে কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসবেন না।
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল
বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। মার্কেটপ্লেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা যায়।

প্রোফাইলে তৈরির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে
১. হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
২. স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রচুর স্কিল টেস্ট বিনা খরচেই দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হন না কেন কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে।
৩. পোর্টফোলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফোলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবেন যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। আকর্ষণহীন একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।

কোন ধরনের কাজের জন্য আবেদন করবেন?
কোনো একটা জব ওপেন করে জবের ডান পাশে দেখবেন বায়ারের তথ্য দেওয়া আছে। যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড নট ভেরিফাইড লেখা সেসব বায়ারের কাজের জন্য আবেদন করবেন না। পেমেন্ট মেথড ভেরিভাইড থাকলে তবে আবেদন করবেন।

ক্লায়েন্টের কাছে কাজের জন্য আবেদন করা
যখন কোনো কাজে/জবে আবেদন করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লেখার ধরন প্রফেশনাল হয়। কখনোই কপি-পেস্ট করে আবেদন পাঠাবেন না। এটা করলে কাজ পাওয়া দুরূহ তো হবেই বরং অনেক ক্লায়েন্ট আপনার লেটার স্প্যাম হিসেবে মার্ক করলে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টটি হারাতে পারেন। যেটা করা উচিত সেটা হলো প্রতিটি জব ভালোভাবে পড়ে তারপর চিন্তা করে গুছিয়ে একটি লেটার লিখে পাঠানো। এ ক্ষেত্রে আপনি একটি ফরম্যাট ফলো করতে পারেন, যেমন:
Hello, Good Day, Good Morning অথবা Evening, ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। Dear Sir/Madam, Dear Manager, ইত্যাদি দিয়ে শুরু না করাই ভালো।
তারপর এক লাইনে আপনি তার কাজের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন, এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি তার জবটি পড়েছেন। তারপর ২-৩টি লাইন লিখুন আপনার কোন দক্ষতা তার প্রজেক্টে কাজে আসবে এবং কেন।র ৪-৫টি বুলেট পয়েন্ট করে লিখুন আপনি তার কাজটি পেলে কী কী ধাপে করবেন।
আপনি কোন ফাইল এটাচ (যুক্ত) করে থাকলে উল্লেখ করুন। সর্বশেষে ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেটার শেষ করুন।
এভাবে একটি ফরম্যাট ফলো করলে দেখবেন কখনই কপি-পেস্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ, দুটি ব্যাপার কখনই করবেন না। একটা হলো লেটারে নিজের ই-মেইল অথবা যোগাযোগের কোনো আইডি উল্লেখ করবেন না এবং কখনই আপনাকে যেন কাজটি দেয় এটা নিয়ে জোর করবেন না। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পেশাদার নাও ভাবতে পারে। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের পারিশ্রমিক চাইবেন।

সাক্ষাত্কার
চাকরির বিজ্ঞাপন পড়ে আমরা কী করি? আমরা সেই বিজ্ঞাপন পড়ে ভালো লাগলে সেই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠাই। আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো জব পোস্ট করা হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে বায়ার কয়েকজনকে সাক্ষাত্কারের জন্য বলেন। তারপর একজন বা দুইজনকে নিয়োগ (হায়ার) দেয় মানে কাজটি করতে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে বিডিং বা বিড করে কাজ পাওয়া। বায়ার আপনার কভার লেটার এবং প্রোফাইল দেখে পছন্দ করলে আপনাকে মেসেজ দিয়ে ইন্টারভিউ নেবে। আপনিও মেসেজ দিয়ে উত্তর দেবেন। আপনাকে ওই আউটসোর্সিং সাইটেই মেসেজ দেবে যে আপনি আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ওই সাইটেই মেসেজ দিয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপের মাধ্যমে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার কাজটি করতে দেবে মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার (Hire) করবে। জবটি অ্যাকটিভ হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract Job Name started. তারপর কাজ শুরু করবেন।

কীভাবে কাজ করবেন?
আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে দুই ধরনের জব আছে। জব আছে দুই ধরনের। আওয়ারলি এবং ফিক্সড প্রাইস। আওয়ারলি জবগুলো আপনার ইচ্ছেমতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো দেখে আপনাকে পেমেন্ট দেবেন। আর আওয়ারলি জবের ক্ষেত্রে টাইম ট্র্যাকার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নেবেন । এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার পর ওপেন করে সাইন-ইন করে যে জবটি করতে চান সেটি নির্বাচন করে Start বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। ঘণ্টায় ৬টির মত। সময় গণনার সাথে সাথে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার ওই স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে Buyer Name ended your contract Job Name. তখন বায়ার আপনাকে একটি ফিডব্যাক দেবেন এবং আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। সর্বোচ্চ ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে মার্ক দেবেন এবং বায়ার আপনাকে তা দেবেন। কেউ কারোরটা আগে দেখতে পাবেন না। দুই জনে (কনট্রাক্টর এবং বায়ার) ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অন্য জনেরটা দেখতে পাবেন। কেউ একজন ফিডব্যাক না দিলে বা উভয়েই না দিলে ১৪ দিন পর একজন অন্যজনের ফিডব্যাক দেখতে পাবেন। ১৪ দিন পার হয়ে গেলে আর ফিডব্যাক দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আপনি বায়ারের সাথে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন আপনার সাথে বায়ারের সম্পর্ক কেমন এবং বায়ার আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজ পেতে সমস্যা হয়। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ওই বাজে ফিডব্যাক মুছে ফেলতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেনডিং (Pending)-এ থেকে তারপর আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
অর্থ তোলার পদ্ধতি (Payment Getway System)
অনেক কাজ করেছেন। আপনার অ্যাকাউন্টে অনেক ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে আনবেন কীভাবে? অর্থ উত্তোলনের অনেকগুলো পেমেন্ট মেথড বা উপায় আছে। আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer)।

অয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতি
অয়্যার ট্রান্সফার হলো অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করা। এর জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড পদ্ধতি
অর্থ উত্তোলন করার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো Payoneer Debit Card। তবে এটি একটু ব্যয়বহুল।

আউটসোর্সিংয়ে শীর্ষে রয়েছে ‘প্যাটেন্ট আইনের’ কাজ

অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে বর্তমানে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছেন। দিনে দিনে বাড়ছে আউটসোর্সিং কাজের পরিধি৷ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন ২০টি কাজের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডার৷
সেরা ২০টি তালিকার মধ্যে শীর্ষে আছে প্যাটেন্ট আইন-সম্পর্কিত কাজ৷ এ কাজের পারিশ্রমিক ঘণ্টায় গড়ে ১১২ দশমিক ২০ ডলার।
দ্বিতীয় স্থানে আছে ভয়েস অ্যাক্টিং (ঘণ্টায় ৭২ দশমিক ৭০ ডলার) এবং
তিন নম্বরে রয়েছে রুবি প্রোগ্রামিং (৬২ ডলার)।
সেরা ২০-এর তালিকায় থাকা অন্য কাজগুলো হলো:
স্টার্স্টআপ কনসাল্টিং (৫৪ ডলার),
গুগল ওয়েবসাইট অপটিমাইজার (৫৩ দশমিক ৮০ ডলার),
ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ (৫৩ দশমিক ২০ ডলার),
নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (৫১ দশমিক ১০ ডলার),
পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ (৪৯ দশমিক ৬০ ডলার),
আমাজন ওয়েব সার্ভিস (৪৯ দশমিক ৪০ ডলার),
আইনি লেখা (৪৯ দশমিক ২০ ডলার),
ডেটাবেইস উন্নয়ন (৪৭ দশমিক ৬০ ডলার),
পাইথন প্রোগ্রামিং (৪৫ দশমিক ৮০ ডলার),
ডিজাঙ্গো ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়ন (৪৫ দশমিক ৭০ ডলার),
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন (৪৩ দশমিক ৬৮ ডলার),
ইন্টারনেট নিরাপত্তা (৪১ দশমিক ৬০ ডলার),
সেলসফোর্স অ্যাপ তৈরি (৪১ দশমিক ২০ ডলার),
লেবেল ও প্যাকেজ ডিজাইন (৪০ দশমিক ৯০ ডলার),
অ্যানিমেশন (৩৫ দশমিক ৯০ ডলার),
সার্চ ইঞ্জিন বিপণন (৩৪ দশমিক ৯০ ডলার) এবং
মোবাইল অ্যাপ টেস্টিং (৩২ দশমিক ৯০ ডলার)।
আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া-নেওয়ার জায়গা ইল্যান্স-ওডেস্কের প্রধান নির্বাহী ফ্যাবিও রোসাটি বলেন, কাজের ব্যাপ্তি এমনভাবে বাড়ছে, যা দেখে সহজেই বলা যায় অনলাইনে করা যায় এমন কাজের চাহিদা দারুণ। চলতি বছরেই (২০১৩-২০১৪) যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের কাজ বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ প্রতিবছর প্রায় ২৭ লাখ কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ছাড়া হয়। ইল্যান্স-ওডেস্কের তথ্য অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
-বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে নুরুন্নবী চৌধুরী

আউটসোর্সিং খাতে বেসিস দিল ৯৭টি পুরস্কার

এপ্রিল ১৪, ২০১৪
অনলাইন আউটসোর্সিং খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন যাঁরা, তাঁদের পুরস্কৃত করল সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। গতকাল রোববার ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৪’ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ সময় তিনি বলেন, ‘নিজের জন্য নিজেকে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই আউটসোর্সিংয়ে সাফল্য আসবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে আউটসোর্সিং খাত থেকে বার্ষিক আয় ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ১০ লাখ মানুষ তৈরি করতে চাই।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিসচিব নজরুল ইসলাম খান, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান, আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডের বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুরসহ অনেকে।
চলতি বছর বিভিন্ন বিভাগে ৯৭টি পুরস্কার দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত বিভাগে দেওয়া হয় ১৮টি পুরস্কার। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ (বিভাগ: ওয়েব অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট), নাইমুল হাসান (ওয়েব ডিজাইন), আবদুর রাজ্জাক (গ্রাফিকস ডিজাইন), মোস্তফা আল আমরান (অনলাইন ব্লগিং এবং কনটেন্ট), জি এম তাসনিম আলম (মোবাইল অ্যাপলিকেশন) ও আনিসুল ইসলাম (এসইও এবং অনলাইন মার্কেটিং)। নারী বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সুলতানা পারভিন, মাহমুদা ও মাহফুজা সেলিম। জেলাভিত্তিক বিভাগে ৬১ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৫টি আউটসোর্সিং কোম্পানি এবারের পুরস্কার পেয়েছে। এগুলো হলো এম অ্যান্ড এইচ ইনফরমেটিকস, কাজ সফটওয়্যার, অমরাভি লি., এম এফ এশিয়া, স্ট্রাকচারড ডেটা সিস্টেমস লি., ন্যাসেনিয়া লি., ব্রেইন স্টেশন-২৩, দি আর এস সফটওয়্যার, টপ অফ স্ট্যাক সফটওয়্যার, আস্থা আইটি রিসার্চ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি লি., গ্রাফিক পিপল লি., ভিভিড টেকনোলজিস লিমিটেড, বোর্ডিং ভিসতা লিমিটেড, সার্ভিসইঞ্জিন লিমিটেড ও ল্যাটিচিউড-২৩ ।
২০১১ সাল থেকে প্রতিবছরই আউটসোর্সিংয়ে জড়িতদের উৎসাহ দিতে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে বেসিস। - রাহিতুল ইসলাম

আউটসোর্সিংয়ে সফল তাঁরা

বিস্তারিত জানতে http://www.prothom-alo.com/technology/article/194983
অনলাইনে বাইরের কাজ করে আয় করা-তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যার পোশাকি নাম আউটসোর্সিং। কয়েক বছর হলো বাংলাদেশের তরুণেরা সফলভাবে এ কাজে যুক্ত হচ্ছেন। নানা পরিসংখ্যানের তথ্য হলো, দেশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার তরুণ মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আউটসোর্সিংয়ে। অনিয়মিতভাবে যুক্ত আছেন আরও অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তির এ খাতে উৎসাহ দিতে ২০১১ সাল থেকে আউটসোর্সিং পুরস্কার দিচ্ছে সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। চলতি বছরের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ১৩ এপ্রিল। পুরস্কার পাওয়া সফল কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারকে নিয়ে আজকের আয়োজন। লিখেছেন-রাহিতুল ইসলাম ও মো. রাফাত জামিল

আউটসোর্সিং করার জন্য জানতে হবে
সুলতানা পারভীন
প্রায় দুই বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন চট্টগ্রামের মেয়ে সুলতানা পারভীন। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। পত্রপত্রিকায় আউটসোর্সিংয়ে অনেকের সাফল্য দেখেই কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। ‘তাই বিকন আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের ওপর একটি কোর্স করলাম। পরে ২০১২-এর ডিসম্বরে প্রথম কাজ শুরু করি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) নিয়ে।’ বললেন সুলতানা পারভীন।
এখন অবশ্য এসইও করেন না, রেসিপি, ব্লগ লেখার কাজ করছেন তিনি। ব্লগ এবং বিভিন্ন পর্যালোচনা লিখে থাকেন ফরমায়েশ মতো। ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন প্রতি মাসে। অ্যামাজন থেকে তাঁর ই-বুকও বের হয়েছে। দুই ছেলেমেয়ে তাঁর। বললেন, ‘আসলে অনেকে বলে আউটসোর্সিং করতে গেলে বেশি কিছু জানা লাগে না। বিষয়টা এমন না। অবশ্যই জানা দরকার। কারণ ইংরেজি এবং যে বিষয়ের ওপর কাজ করতে চান, সেটির ওপর দক্ষতা থাকতে হবে।’

নিশ্চিত হোক ইন্টারনেট সংযোগ
প্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা
প্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ২০১১ সালের ডিসেম্বরে রাঙামাটি শহরে বসে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। প্রথমে হাব পেজ ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং-সম্পর্কিত বিষয়ে অনুচ্ছেদ লেখা, তারপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই করছেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ। এ কাজে অনুপ্রাণিত করেছেন গ্রামের অনেককে। বর্তমানে ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার এবং ইল্যান্স ডটকমের মাধ্যমে ওয়েব বিপণনের কাজ করছেন। এখন দল বানিয়ে কাজ করছেন। প্রতি মাসে আয় করছেন ৩৮ হাজার টাকা করে। ইন্টারনেট সংযোগের বিড়ম্বনা এড়াতে নিজের দলবল নিয়ে চলে এসেছেন চট্টগ্রামে। প্রতুল এবার রাঙামাটি জেলা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমাদের এখানে ইন্টারনেট সংযোগের গতি অনেক ধীর, সব সময় সংযোগ থাকেও না। রাঙামাটির মতো জেলায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা গেলে এখানে বসেই অনেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবে।’

সততা ও নিয়মানুবর্তিতা থাকতে হবে
জি এম তাসনিম আলম
২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ শুরু করেন তাসনিম আলম। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইফোনের অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) নির্মাতা হিসেবে কাজ করতেন। এরপর ওডেস্কের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ।
মুঠোফোনের অ্যাপলিকেশন তৈরি করেন তাসনিম। ওডেস্কের মাধ্যমেই বেশি কাজ পান। প্রথমে একা শুরু করলেও বর্তমানে দল গঠন করেছেন। দলে আছেন ডিজাইনার এবং প্রোগ্রামার। প্রতি মাসে আয় করছেন দুই লাখ টাকার বেশি। তিনি বলেন, কাজের মধ্যে সততা ও নিয়মানুবর্তিতা থাকতে হবে। যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ নেওয়া উচিত। কাজ নেওয়ার সময় ঠিকমতো বুঝে নিতে হবে, তাহলে দুপক্ষের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক ও আস্থার জায়গা সৃষ্টি হবে।

চাই দক্ষতা ও ধৈর্য
আনিসুল ইসলাম
এসইও ও অনলাইন বিপণন বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুল ইসলাম। ২০১২ সালে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশলে স্নাতক আনিসুল পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করতেন। নিজে উদ্যোগী হয়ে ২০১০ সাল থেকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর এক বছর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফরচুন টেক নামে একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি চালু করেন। বর্তমানে তিনি কোম্পানি নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আনিসুল এখন প্রতি মাসে পাঁচ হাজার ডলার আয় করেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা কাজ করতে চান প্রথমত ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য ছাড়া আউটসোর্সিং পেশা সম্ভব হবে না। কোন বিষয়ের ওপর কাজ করবেন তার ওপর দক্ষতা থাকতে হবে।’

শেয়ার ব্যবসার লোকসান পুষিয়ে নিতে
শামসুল আলম
শামসুল আলম পেশায় একজন ব্যাংকার, পাশাপাশি করতেন শেয়ার ব্যবসা। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ২৫ লাখ টাকা লোকসান হয় তাঁর। বাড়তি আয়ের মাধ্যমে ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে শুরু করেন আউটসোর্সিং। প্রথম কিছুদিন সময় নেন কাজটা বোঝার জন্য। ২০১১ সালের শেষ সময় থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ডেটা এন্ট্রি ও গবেষণাধর্মী কাজ করতে শুরু করেন। এ কাজে পার করেছেন আড়াই বছরেরও বেশি সময়। শেয়ার ব্যবসার জন্য নেওয়া ব্যাংক ঋণের প্রায় পুরোটাই শোধ করেছেন ইতিমধ্যে। এখন শামসুল আলমের আয় প্রতি মাসে দুই লাখ টাকারও বেশি।
গড়ে তুলেছেন ‘ওয়েফটি’ নামে একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সাতজন তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমি এই কাজটাকে আউটসোর্সিং কিংবা ফ্রিল্যান্সিং বলতে চাই না, এটা আসলে অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়ার একটি বিশাল ক্ষেত্র।’

পেপ্যাল থাকলে সুবিধা হতো বেশি
আবদুর রাজ্জাক
২০১২ সালে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং, আর সেটাও বগুড়ায় বসে। কাজটা বুঝে উঠতে সময় লেগেছে, ২০১৩ সালে বেড়ে গেছে কাজের পরিধি। আড়াই বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেছেন বহুদূর, এখন দুজনে মিলে সব কাজ দেখাশোনা করেন। গ্রাফিকস নিয়েই কাজ তাঁর। এনভাটো ডটকমে বিক্রি করেন নিজের তৈরি গ্রাফিকস ডিজাইন। গড়ে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। প্রতি মাসে আয় করছেন সাত লাখ টাকার বেশি।
‘উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকায় আসি। একটা কম্পিউটার গ্রাফিকস প্রতিষ্ঠানে কাজ করা শুরু হয়। এরপর একজন বড় ভাইয়ের কাছে শুনি আউটসোর্সিংয়ের কথা।’ আবদুর রাজ্জাকের শুরুটা এভাবেই। আউটসোর্সিং এখন তাঁর পেশা হয়ে গেছে। আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আমাদের দেশে পেপ্যালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুবিধা না থাকার কারণে নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কাজ করতে পারছি না। পেপ্যাল থাকলে সুবিধা হতো আমাদের।’ নিজে যেমন ভালো করছেন আউটসোর্সিংয়ে তেমনি বগুড়ায় তরুণদের দিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ।

শুধু টাকা আয়ের জন্য কাজ করি না
মাহফুজা সেলিম
ঢাকা মিরপুর বাঙলা কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়ছেন মাহফুজা সেলিম। কম্পিউটার গ্রাফিকস তাঁর ভালো লাগে। তাই একটি কোর্স করেছিলেন তিনি। বললেন, ‘একদিন আমার এক বান্ধবী পরামর্শ দিল ফ্রিল্যান্সিং করার। ২০১১-এর জানুয়ারিতে ওডেস্কে কাজ শুরু করি। ধীরে ধীরে কাজের গতি বাড়তে থাকে।’
বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। ‘তবে শুধু টাকা আয়ের জন্য আউটসোর্সিং করি না। এটুকু মাথায় রেখে কাজ করি, আমি একজন বাংলাদেশি। আর আমি কাজ করছি বাইরের বায়ারদের সঙ্গে, আমার পরিচিতির সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা আছে।’

শখ থেকেই শুরু
নূর মোহাম্মদ
২০০৭ সালে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন নূর মোহাম্মদ। কাজ করেন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে। ফ্রিল্যান্সার ডটকমেই মূলত কাজ করেন তিনি। প্রথমে একা শুরু করলেও বর্তমানে ১৫ জনের একটি দল আছে তাঁর। মাসিক আয় এক লাখ টাকা প্রায়। তিনি বলেন, ‘শখ থেকেই এ কাজের শুরু। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসে না। অনলাইন থেকে বিভিন্ন বিষয়সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও টিউটোরিয়াল দেখেই কাজটা আয়ত্তে এনেছি। অনলাইনে অনেক ডিজাইন কমিউনিটি আছে, যাদের করা নানা রকম ডিজাইন আমাকে এই কাজে আসতে উৎসাহিত করেছে।’ নূর মোহাম্মদ নিজে করেন ওয়েব ডিজাইনের কাজ।

চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং ভালো
ইয়াসির আরাফাত
দুই বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন ইয়াসির আরাফাত। ওডেস্ক, ইল্যান্স ও সরাসরি বায়ারের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিডাস জেড-টেকনোলজি’ ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে আছে অংশীদারত্ব। মূলত প্রোগ্রামিং করেন, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজই বেশি করেন। প্রতি মাসে আয় করেন চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। নিজের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। ‘সবাইকে বুঝতে হবে চাকরি করার চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা ভালো। এখানে স্বাধীন মনে কাজ করা যায়।’ বললেন ইয়াসির আরাফাত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ আনেক ভালো বলে তাঁর ধারণা। এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে-এমনটাই ভাবেন ইয়াসির।

বিষয়টি ধৈর্যের
সায়েমা মুহিত
ঢাকা সিটি কলেজ থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক পড়ার সময় আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন সায়েমা মুহিত পড়াশোনার পাশাপাশি ২০১১ সালে প্রথম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ শুরু করেছেন তিনি। স্বামী মহিউদ্দিন মুহিতও আউটসোর্সিংয়ে আছেন, গত বছর বেসিস পুরস্কার পেয়েছেন।
সংসার দেখাশোনার বাইরে পুরো সময় আউটসোর্সিং করেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে সায়েমা সবার বড়। বর্তমানে তিনি ১৫ ঘণ্টা করে কাজ করেন, এখন সায়েমার প্রতি মাসে আয় এক লাখ টাকার বেশি। তিনি বলেন, ‘আউটসোর্সিং বিষয়টি ধৈর্যের। মেয়েদের উদ্দেশে বলব, বাইরে চাকরি করার চেয়ে ঘরে বসে আউটসোর্সিং করা অনেক ভালো।’

সম্মিলিতভাবে কাজ করার বড় ক্ষেত্র
মহানন্দ সরকার
তরুণদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছেন ৩৮ বছর বয়সী মহানন্দ সরকার। একসময় চাকরির পাশাপাশি কাজ করতেন। পরে চার হাজার ডলারের একটা বড় কাজ পেয়ে যান। কয়েকজন তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলেন। সবাই মিলে শেষ করেন প্রকল্পটি।
এর পর থেকেই শুরু। চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন এখন। দুই বছর ধরে করছেন এই কাজ। ইল্যান্স ও সরাসরি বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেন তিনি। এসব প্রকল্পের গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজ করেন। প্রতি মাসে আয় এক লাখ টাকা। তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিনা মূল্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেন।
তিনি বলেন, যেকোনো পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এবং ভালো ইংরেজি জানতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করার একটা বড় ক্ষেত্র আউটসোর্সিং।

রপ্ত করতে লাগে ছয় মাস
শাকিল হোসাইন
ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন শাকিল হোসাইন। ২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছেন। প্রতি মাসে আয় ৩০ হাজার টাকার মতো। মাইক্রো ওয়ার্কস এবং ওডেক্সের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করেন তিনি।
শাকিল আগে চাকরি করতেন একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। প্রথমদিকে কিছু বাধা ছিল, সেগুলো কাটিয়ে উঠেছেন। জানালেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কাজটা বুঝে নেওয়া এবং বুঝিয়ে দেওয়াই বড় একটা ব্যাপার। বড়জোর ছয় মাস কিংবা এক বছর লাগে এই কাজটি রপ্ত করতে।

দক্ষ হলে সফলতা আসবে
আবু সালেহ মো. কায়সার
শিক্ষকতা ছেড়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেছেন আবু সালেহ মো. কায়সার। কাজ করছেন প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল। মুঠোফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল ও এসএমএস ব্লক করার একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন তিনি। ছেড়ে দিয়েছেন অনলাইন বাজারে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে এ অ্যাপ জনপ্রিয়। কল অ্যান্ড এসএমএস ব্লকার প্রো নামের এ অ্যাপ থেকে কায়সারের আয় হয় মাসে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা। তিনি বলেন, এই কাজের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করা যায়। কাজটা করার জন্য একটু দক্ষ হতে হবে, তবেই আসবে সফলতা।
নিজের বাড়িতে বসেই কাজগুলো করি
আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ
ওয়েব অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ। ২০০৬ সালে রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক হয়ে ঢাকার একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। চাকরির পাশাপাশি ২০১০ সালে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং পেশা। ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন নিজ জেলা রাজশাহীতে। পুরোপুরিভাবেই শুরু করেন ফ্রিল্যান্স। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে আরও দুই বন্ধু নিয়ে নিজেই রাজশাহীতে আউটসোর্সিং কোম্পানি চালু করছেন। আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ বলেন, ‘ঢাকায় সফটওয়্যার কোম্পানিতে খারাপ ছিলাম বিষয়টা এমন নয়, ভালোই ছিলাম। ওখানেও আমি ওয়েব অ্যাপলিকেশন তৈরি নিয়ে কাজ করতাম। অনেক সময় চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু এখন আমি নিজ বাড়িতে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করছি। এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।’

এসইও বিষয়ের বই

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন লেখক: মো. মিজানুর রহমান দাম: ৩৪০ টাকা পৃষ্ঠা: ৩৬৮ প্রকাশনী: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী, ঢাকা
আউটসোর্সিংয়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ বেশ জনপ্রিয়। তবে এসইও করতে হলে বিষয়টি বোঝা এবং এ সম্পর্কে জানা-শেখা জরুরি। কাজটি শেখার পাশাপাশি কীভাবে কাজ পাবেন, অনলাইন মার্কেটপ্লেস কী, সেখান থেকে কাজ কীভাবে পেতে হয়, কাজ কীভাবে সম্পন্ন করতে হয়-সেসবও জানতে হবে। এসইও একটি পদ্ধতি, যেটির মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে প্রথম পাতার শুরুতে নিয়ে আসা যায়। এ ধরনের নানা তথ্য পাওয়া যাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বইয়ে। এটি লিখেছেন মো. মিজানুর রহমান। বইয়ে এসইওর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
এতে ১৯টি অধ্যায়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের নানা বিষয়। প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয়ের সঙ্গে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিনের কাজের প্রয়োজনীয় ছবি ও বর্ণনা। এর মাধ্যমে জানা যাবে এসইওর প্রাথমিক ধারণা, সার্চ ইঞ্জিনের প্রাথমিক ধারণা, কারিগরি পদ্ধতি, এসইওর জন্য পরিকল্পনা তৈরি, সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরির বর্ণনা, কি-ওয়ার্ড রিসার্চ ও সিলেকশন, কি-ওয়ার্ড অ্যানালাইসিস টুলস ইত্যাদি। এ ছাড়া জানা যাবে ব্লগিংয়ে ব্লগিং তৈরি, গুগলের বিনা মূল্যে ব্লগ খোলার সেবা, ব্লগারের ব্লগকে এসইও করা, এইচটিএমএল বেসিক, অন পেজ অপটিমাইজেশন, অফ পেজ অপটিমাইজেশন, ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি ব্লগ তৈরি, ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগকে এসইও করা ইত্যাদি সম্পর্কেও। বইয়ের সঙ্গে রয়েছে একটি সিডি।

আইসিটি লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ১০ অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী ড. এমআই পাটোয়ারী অডিটরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. মো. কায়কোবাদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. মুহম্মদ শহিদুল কাদির পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, অধ্যাপক ড. মো. সানাউল্লাহ, ডিন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, এটিএম মাহবুবুর রহমান, চেয়ারম্যান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। -সবুজ সরকার

প্রতি জেলায় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণ

সরকারি উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে চলতি মে মাসজুড়ে ৬৪ জেলার তরুণ-তরুণীদের নিয়ে ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ছয় কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে সফটওয়্যার তৈরি, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), অনলাইন বিপণন, ব্যবসায় পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে৷ গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৬৪ জেলায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। এ জন্য ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে হবে।’ তিনি জানান, এই কর্মসূচিটি জেলা প্রশাসকেরা তদারক করবেন।
আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি জেলায় অন্তত দুজন করে ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠুক।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এ কর্মসূচির পরিচালক আবুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরাসহ অনেকে।
প্রথম পর্যায়ে প্রতি জেলায় ৩০ জন করে মোট এক হাজার ৯২০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর ছয় মাস মেয়াদি অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শেষ ধাপে ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় গবেষণা মডিউল ও ই-কনটেন্ট তৈরি করতে সহয়তা করা হবে। -রাহিতুল


Leave a comment...

You need to login before submit comment. | Check the box to save Password (Uncheck if on a shared computer)